তৃতীয় ধাপের ৮৭ উপজেলা নির্বাচনে বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা।
একযোগে ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বুধবার।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ১৮ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী ১২ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত হয় ১ হাজার ১৫২ জন প্রার্থী।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ২৯৯ জন। ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা।
তবে এরই মধ্যে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১২ জন প্রার্থী। যার মধ্যে রয়েছে একজন চেয়ারম্যান, চারজন ভাইস চেয়ারম্যান আর সাতজন মহিলা ভইস চেয়ারম্যান।
এই ধাপে সারাদের ৮৭টি উপজেলায় মধ্যে ১৬ টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
দুপুরে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, ভোট শুরুর প্রথম চার ঘণ্টায় গড়ে ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। ভোটে অনিয়ম থাকায় চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। অপরদিকে বগুড়া সদর উপজেলায় প্রতীক নিয়ে ত্রুটি থাকায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, ফেনী উপজেলা নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ভোটে অনিয়ম করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তৃতীয় ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও গত সোমবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতির কারণে প্রথমে ১৯ উপজেলা এবং পরদিন মঙ্গলবার আবার তিনটি উপজেলায় ভোট স্থগিত করে ইসি।
সব মিলিয়ে দুই দফায় তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট ২২ উপজেলার ভোট স্থগিত করে ইসি। ফলে তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।