বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি চাকরিতে তিন লাখ ৭০ হাজার পদ খালি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ মে, ২০২৪ ১৮:৫৯

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মোট সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী রয়েছেন।’

সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে তিন লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি পদ শূন্য রয়েছে।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মোট সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন। সূত্র: ইউএনবি

মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ বক্তব্য দেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে (বিসিএস) নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব ১৬৪ জন এবং উপসচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন। আর সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ৬৫৮ জন।

‘এ ছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে সাতজন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত ৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন নারী কর্মরত। এছাড়া একজন নারী বিভাগীয় কমিশনারও আছেন।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, বিগত ১০ বছরে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের ৩৫১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন ও লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সবমিলে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না- এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা শৃঙ্খলা চলে এসেছে।

‘যখন আমরা পদোন্নতি দেই, একটা প্রশ্ন আসে- পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপের অধীনে বেশকিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতদের বিষয় তো আছেই। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, কিছুসংখ্যক মানুষ থাকে যারা অসুস্থ থাকেন। সেটি বাদেই আমাদের পদোন্নতি দিতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি, তখন কিন্তু যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে। কিছুদিনের মধ্যেই বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশকিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপর বেশ কিছু আমাদের রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ হচ্ছে- যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায়, সেই জায়গাটি যেন পূরণ করা যায়।

বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।

এ বিভাগের আরো খবর