বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন

  • প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ   
  • ২৮ মে, ২০২৪ ১৪:৪১

যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।

ঝিনাইদহের এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মিজানুর রহমান এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।

রায়ের সময় খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নরহরিদ্রা গ্রামের খোন্দকার আমিরুজ্জামানের ছেলে। তার বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজ পাড়ায়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের নিজ গ্রাম সদর উপজেলার নৃসিংহপুরে এক বিচারপ্রার্থী নারীকে মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ওই নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করে আবার একই টেবিলে বসে তালাকও দেন ফরিদ।

মামলার পর ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান।

ঝিনাইদহের আদালত মামলাটি অধিকতর তদেন্তর জন্য ডিএনএ টেষ্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠায়। ডিএনএ টেস্টে ফরিদ ফেঁসে যান। এ কারণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আ.লীগ তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করে।

এই মামলায় ফরিদের গাড়িচালক হুদা বাকড়ী গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী বজলুর রহমান ও আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নেকবার আলী।

এ বিভাগের আরো খবর