বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিমালের তাণ্ডবে এখনও বিদ্যুৎহীন অনেক এলাকা

  • প্রতিনিধি, ফেনী/ঘাটাইল (টাঙ্গাইল)   
  • ২৮ মে, ২০২৪ ০৯:২৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। এতে অন্ধকারে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করেন বাসিন্দারা। দুর্যোগে দুর্ভোগে সীমাহীন ভোগান্তিতে সময় পার করছেন তারা ।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। বিদ্যুৎ সংযোগের তারে গাছ পড়ে অনেক স্থানেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এখনও বিদ্যুৎহীন অনেক এলাক।

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। এতে অন্ধকারে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করেন বাসিন্দারা। দুর্যোগে দুর্ভোগে সীমাহীন ভোগান্তিতে সময় পার করছেন তারা।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সারা এলাকা। রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে বইছে উত্তাল বাতাস। গাছপালা ভেঙে রাস্তাঘাটে যানচলাচলেও বিড়ম্বনায় বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা।

পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় ফোনের নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাওয়া যাচ্ছে না ইন্টারনেট সেবাও। পর্যাপ্ত চার্জ না থাকায় বন্ধ হয়ে পড়েছে ফোন। এতে পুরো এলাকায় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, টানা দিন রাত বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পানি সংকটসহ রান্না-বান্না করতে সমস্যা হচ্ছে। এতে অন্ধকারে রাত পার করছি।

লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়নের ইন্দ্রাবাইদ এলাকার বাসিন্দা সানোয়ার হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড়ের কারণে বাড়ির গাছপালা ভেঙে পড়েছে। গাছের আম, কলা ও ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। মোবাইল ফোনের চার্জ না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছি।

লক্ষ্মীন্দর ইউপি সদস্য মো. মাছুম মিয়া বলেন, সাগরদীঘি–মধুপুর সড়কে গাছ পড়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। কয়েকজন মিলে সড়কের গাছ সরিয়ে চলাচলের উপযোগী করেছি। একরকম আতঙ্কে সময় পার করতে হচ্ছে।

এ নিয়ে সতর্কতা জারি করে স্থানীয় জনসাধারনদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে অনুরোধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান জানান, সারা দেশে ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছেন। তবে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ফেনী

উপকূলীয় জেলা ফেনীতে রিমালের প্রভাবে রাত থেকেই তীব্র ঝড়ো হওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। জেলার উপকূলীয় জনপদ সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরামসহ বিভিন্ন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি।

জানা গেছে, রাত থেকেই উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ ছিল আশা যাওয়ার মাঝে। জেলা শহরে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক থাকলেও তারপর থেকে বেশিরভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ধান গবেষণা এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাসের কারণে কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সোনাগাজীর চরচান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা আবু সুফিয়ান বলেন, মধ্যরাত থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা নিরাপদে আছি। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকলেও লোকালয়ে প্রবেশ করেনি।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, রাত থেকেই ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে পুরোপুরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে সংযোগ সচল করতে কাজ শুরু হবে। বর্তমানে জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আ.স.ম. রেজাউন নবী বলেন, তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোর ৫টা থেকে ৩০ হাজারের অধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে লাইন মেরামতে কাজ শুরু হবে।

ফেনী আবহাওয়া দপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখনও ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর