ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কাজ করে চলেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে দুজনের মরদেহ ও আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১৪টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে আশ্রয় দেয়া হয়েছে ১৬৩ জনকে।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল সূত্রে সোমবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানা গেছে।
সোমবার চট্টগ্রামের চন্দননগরে দেয়াল ধসে ও পটুয়াখালী বাউফলে গাছচাপায় প্রাণ হারানো দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঝড়-বৃষ্টির কারণে উল্টে যাওয়া গাড়িতে চাপা পড়া দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯টি গাছ রাস্তা থেকে এবং দুটি গাছ বাসাবাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আর বরিশাল বিভাগে ৫৫টি গাছ রাস্তা থেকে এবং ১০টি গাছ বাসাবাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়। এছাড়া
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা থেকে ১৮টি গাছ অপসারণ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
রাজশাহী বিভাগে ১০টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ঝড়ে পড়া মোট ১১৪টি গাছ অপসারণ করেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গত ১২০ জনকে উদ্ধার করে বরিশালের গলাচিপা ফায়ার স্টেশনে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এছাড়া বরগুনার পাথরঘাটা ফায়ার স্টেশনে ১৭ জন, ভোলা ফায়ার স্টেশনে ২০ জন এবং ইন্দুরকানি ফায়ার স্টেশনে ৬ জনকেসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে মোট ১৬৩ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।