দেনার দায়ে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ৪ বছর বয়সী একমাত্র মেয়েকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এক দম্পতি।
সোমবার ভোরে উপজেলার ভাদুরিচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম ফাউজিয়া শেহতাজ মৃত্তিকা। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবা ৩৫ বছর বয়সী মাসরুল হোসাইন ও মা মীরা আফরোজ সাথী।
জাপান টোব্যাকোর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং পদে ময়মনসিংহে চাকরিরত মাসরুল পরিবার নিয়ে উত্তর গোপালপুরের ভাদুরিচর গ্রামের হারুন অর রশিদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
পুলিশ জানায়, এদিন ভোরে সন্তানের মৃত্যু নিশ্চিতের পর ওই দম্পতি ঘুমের ওষুধ ও কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশীরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলক কান্তি সাহা জানান, স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখনও তারা শঙ্কামুক্ত নন। তাদের চিকিৎসা চলছে। তবে আগের চেয়ে এখন কিছুটা সুস্থ।
অসুস্থ মাসরুল হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাসখানেক আগে ময়মনসিংহে আমার কাছ থেকে কোম্পানির দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনতাই হয়ে যায়। ঘটনাটি অফিসে জানালে চাকরি চলে যায় এবং কোম্পানি টাকার জন্য আমার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। উপায়ান্তর না পেয়ে রোববার বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ১২০টি ঘুমের ওষুধ ও কীটনাশক কিনে আনি। মধ্যরাতের পর একমাত্র মেয়েকে ১২টি ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিতের পর আমরা (স্বামী-স্ত্রী) আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ভোররাতে ঘুমের ওষুধ ও কীটনাশক পান করি।’
গোপালপুর থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘হতাশাগ্রস্ত বাবা-মা সন্তানকে খুন করার অপরাধে ও বাবা-মায়ের আত্মহত্যা চেষ্টার দায়ে নিয়মিত মামলা হবে।’