বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ মে, ২০২৪ ১৮:৫৩

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দলকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট নেশন’ হয়ে ‌ওঠার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করি। আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং রপ্তানির ভিত্তি সম্প্রসারণে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।’

বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের আমাদের অগ্রযাত্রায় অংশীদার হওয়ার জন্য আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি।’

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার সকালে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তাদের উদ্দেশে বক্তব্যে শেখ হাসিনা এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট নেশন’ হয়ে ‌ওঠার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করি। আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং রপ্তানির ভিত্তি সম্প্রসারণে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের প্রচেষ্টা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে।

‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। এটা সম্ভব হয়েছে সুশাসন, আইনের শাসন ও স্থিতিশীলতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি, যা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর ঘটিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের জন্য একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী। উভয় দেশের অনেক ক্ষেত্রেই নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যৌথ লক্ষ্য হল জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা। এটি আমাদের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে।

‘যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে আমাদের রপ্তানির বৃহত্তম একক-দেশীয় গন্তব্য এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম ও জ্ঞান-প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আগামী দিনে এই অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর ও পারস্পরিক সুবিধার জন্য একটি মসৃণ ও অনুমানযোগ্য সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হয়ে উঠবে।

‘অতএব, আমি আপনাদেরকে আমাদের অনেক প্রাণবন্ত ও উচ্চ সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যেমন নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পরিশেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ নিতে এবং বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘সরকার দেশে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি চালু রয়েছে।

‘বিশেষ করে আইটি সেক্টরে ১০ লাখের বেশি ফ্রি-ল্যান্সিং আইটি পেশাদারসহ বাংলাদেশে আইটি খাত বিনিয়োগের জন্য সঠিক গন্তব্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে একটি তরুণ, দক্ষ ও প্রাণবন্ত কর্মশক্তির প্রাপ্যতা একটি বিশাল সুবিধা।

‘এখানে আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে বাংলাদেশে এই অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতির মর্যাদা রয়েছে। আমরা আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যুক্তরোষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অবহিত করেছেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন।

‘যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু চ্যালেঞ্জেরও উল্লেখ করেন।’

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস স্বাগত বক্তব্য দেন এবং সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত (অব.) অতুল কেসাপ ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর