ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালʼ-এর প্রভাবে নৌপথ উত্তাল হয়ে ওঠায় রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খেয়া নৌকাগুলোকেও নদী পারাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে শনিবার রাত ১০টা থেকে সব রুটের ছোট-বড় সব ধরনের লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, টার্মিনাল এলাকা পুরোপুরি সুনসান। মানুষের চলাচল নেই, নেই হাঁক-ডাক। পন্টুনেও কোনো লঞ্চ বাঁধা ছিলো না। অনেকে লঞ্চ বন্ধের খবর পেয়ে বিকল্প হিসেবে বাসে যাতায়াতের পথ খুঁজছেন। অনেকে ঘাট থেকে প্রাইভেট কারযোগে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন।
লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা জানান, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় না আসা পর্যন্ত ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়া নিরাপদ হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএ’র নির্দেশনা অমান্য করারও সুযোগ নেই।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ কারণে সকাল ৬টা থেকে সব ধরনের লঞ্চ এবং নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’
এছাড়াও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যাত্রীসাধারনের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার রাত ১০টা থেকে ঢাকা নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব লঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।