কুমিল্লায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব শুরু হবে রোববার সন্ধ্যা নাগাদ। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার থাকতে পারে। সে লক্ষ্য ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ২১১টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। এ সময় বড় ডালপালা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে। ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পরবর্তী ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ঝুঁকি থাকবে। কুমিল্লাতেও ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসকসহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা হয়েছে। সবাইকে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবেলায় সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে ২১১টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি ঝড়ের সময় মহাসড়কসহ অন্যান্য জায়গায় যদি গাছ বা ডালপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে থাকে তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিদ্যুৎ বিভাগও দুর্যোগ মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষ করে কুমিল্লার দাউদকান্দি, হোমনা ও মেঘনা উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে ধারণা করে এই তিন উপজেলার দিকে নজরধারী বাড়ানো হয়েছে।