ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝালকাঠিতে শনিবার রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে নদীর পানি।
জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। রাতের জোয়ারে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম নিলয় পাশা।
বাতাসের চাপে সকাল থেকে সুগন্ধা, বিষখালী এবং হলতা নদী উত্তাল ছিল। এ অবস্থায় বন্ধ হয়নি খেয়াঘাটগুলো থেকে ট্রলারে যাত্রী পারাপার। ঝালকাঠির বেশিরভাগ খেয়াঘাটেই ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ট্রলারে নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা
ট্রলার মাঝিরা জানেন না ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কী। তারা বলছেন, নদী উত্তাল থাকলেও ঢেউয়ের তাল বুঝে শুনেই ট্রলার চালাচ্ছেন। আর যাত্রীরা বলছেন, ট্রলার যেহেতু চলছে, তারাও পার হচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি কলেজ খেয়াঘাট থেকে নলছিটির বারই করন ঘাট, পৌর খেয়াঘাট থেকে পোনাবালিয়া ঘাট, কাঠপট্টি থেকে নাপিতের হাট ঘাটের উদ্দেশে ঝুঁকি নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রলারগুলো। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ঘাটগুলোতে কোনো শৃঙ্খলাও ছিল না।
সেচ্ছাসেবী অনেক সংগঠনের সদস্যদের ঘাটে তদারকি করতে দেখা গেলেও প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ উপস্থিতি ছিলেন না।
সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের কর্মকর্তা শাকিল হাওলাদার রনি ও রেডক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের সদস্য শাহরিয়া সীমান্ত জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ট্রলার থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করলে দুর্ঘটনা ঘটবে যেকোনো মুহূর্তে।