মেহেরপুরে রাতের অন্ধকারে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের ঘরে আগুনের ঘটনায় পুড়ে গেছে পাম্পের মটরসহ পুরো ঘরের বেড়া ও টিন। এতে ওই এলাকার মাঠে থাকা প্রায় ৯০ থেকে ১০০ বিঘা জমির ফসলে সেচ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।
তাদের অভিযোগ, কেউ শত্রুতা করে আগুন দিয়েছে। এমনিতেই বৃষ্টি নেই, তারপর সেচ পাম্প পুড়িয়ে দেয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের শুক্রবার রাতের কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের মকবুল হোসেন প্রায় আট থেকে নয় বছর ধরে রামনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান সংলগ্ন মাঠে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প বসিয়ে ওই মাঠের প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে সেচের সুবিধা দিচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘শনিবার সকালে মাঠে সেচ দিতে এসে দেখতে পাই সেচ পাম্পসহ পুরো ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। শুকনো সময় হওয়ায় ওই মাঠে বিভিন্ন ধরনের ফসল নিয়ে বিপাকে পড়বেন চাষিরা। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করছি, যারা আমার এ ক্ষতি করেছে তাদের খুঁজে বের করে আমার ক্ষতিপূরণসহ তাদের যেন কঠিন শাস্তি প্রদান করা হয়।’
স্থানীয় কৃষক মহির আলী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে মাঠে উচ্চ মূল্যের ফসল রয়েছে। মটর পুড়ে যাওয়ায় সেচ কাজ ব্যাহত হবে। এ প্রচণ্ড রোদের সময় জমি শুকিয়ে যাচ্ছে, সময় মতো ফসলে পানি দিতে না পরলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের।’
বেগুন চাষি সাবদার আলী বলেন, ‘পুরো মাসজুড়ে প্রচণ্ড গরম আর রোদের তাপে বেগুন গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহে তিন দিন সেচ দিয়ে গাছ টিকিয়ে রাখা লাগছে। আর আমাদের ফসলি জমিতে এই পাম্পটি থেকে সেচ দেয়া হত। আমরা তো ফসল নিয়ে বিপদে পড়ে গেলাম।’
গাংনী থানার ওসি তদন্ত মনোজ কুমার নন্দী জানিয়েছেন, রামনগর মাঠে একটি সেচ পাম্প আগুনে পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যদি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ দেয়, তাহলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।