ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে শনিবার সকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুইচ টিপে প্রকল্পগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
প্রকল্পগুলো হলো বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতান, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইস গেট পর্যন্ত আট সারির বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড), ধানমন্ডি হ্রদে নজরুল সরোবর এবং শাহবাগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতানে পাঁচটি সাধারণ সিঁড়ি ও ছয়টি অগ্নি প্রস্থান সিঁড়িসহ পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিপণি বিতানের প্রতিটি ব্লকের জন্য আলাদা বাহির ও প্রবেশদ্বার থাকবে।
ভবনে বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক কক্ষ এবং প্রতিটি ব্লকের প্রতি তলায় চারটি করে শৌচাগার থাকবে। এ ছাড়া ভবনের ভূমিতলে ১৬৯টি গাড়ি ও ১০৯টি মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে।
পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইস গেট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আট সারির বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণির নির্মাণকাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
৯৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের আওতায় ১০ কিলোমিটার নর্দমা (ড্রেন), ১০ কিলোমিটার পথচারী হাঁটার পথ (ফুটপাত), তিনটি উড়াল সেতু (ভেহিক্যাল ওভারপাস), তিনটি পথচারী পারাপার সেতু (ওভারব্রিজ), দুই কিলোমিটার সংরক্ষণকারী দেয়াল (রিটেইনিং ওয়াল), তিনটি মসজিদ, ছয়টি যানবাহন বিরতির স্থান (বাস-বে) ও ছয়টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হবে। এতে ঢাকা শহরের ভেতরে বাস, ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমার পাশাপাশি বহুলাংশে যানজট নিরসন হবে।
নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডি হ্রদে নজরুল সরোবর নির্মাণ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি। শনিবার এ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে ‘নজরুল সরোবর’ নামের উন্মুক্ত বিনোদন মঞ্চে একটি ঘাটলা, উন্মুক্ত মিলনায়তন, পথচারীদের হাঁটার পথ, গণপরিসর, রেস্তোরাঁ, বসার স্থান (বেঞ্চ), দৃষ্টিনন্দন বাতি, পর্যাপ্ত সবুজায়ন ও শব্দযন্ত্র (সাউন্ড সিস্টেম) স্থাপনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নজরুল ইসলামের স্মৃতিময় মুহূর্ত ও সাহিত্যকর্ম সংবলিত ফলক স্থাপন করা হবে।
শাহবাগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যানের আধুনিকীকরণ কাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (শাহবাগে জিয়া শিশু পার্কের নতুন নাম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান করা হয়েছে)। প্রায় ৬০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ শিশু উদ্যানের আধুনিকায়নের কাজ করা হবে।
১৯৭৯ সালে স্থাপিত এ পার্কে আগে ১১টি রাইড ছিল। আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেখানে মেগা ডিস্ক, সুপার এয়ার রেস, ফ্লাইং ক্যারোস্যাল, গ্যালিয়ন, ১২ডি থিয়েটার, মাইন কোস্টার, ক্লাইম্বিং কার, সুপার হ্যাপি সুইং, ওয়াটার ম্যানিয়াসহ অত্যাধুনিক ১৫ ধরনের রাইড বসানো হবে।