বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে সিলেটের তাপমাত্রা, গরমে হাঁসফাঁস

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ২৪ মে, ২০২৪ ২০:২৭

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসেন বলেন, ‘দেশে সাধারণত মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসে গরম বেশি থাকে। বৃষ্টি হলে এই সময়ে গরম কিছুটা কমে। তবে আগামী কয়েকদিন এরকম গরম থাকতে পারে।’

সিলেটজুড়ে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই জনপদের তাপমাত্রা।

শুক্রবার বেলা ৩টায় সিলেটের তাপমাত্রা ছিলো ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পারদ ওঠে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা মৌসুমের সর্বোচ্চ ছিল। একদিন পরই সে রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়।

তাপমাত্রা বাড়ায় বেড়েছে গরমও। গত তিন-চারদিন ধরে টানা গরমে নগরবাসীর হাঁসফাঁস অবস্থা; বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা রয়েছেন কষ্টে।

গত ১৬ মে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় সিলেটের তাপমাত্রা। তখন সেটিই ছিল মৌসুমের সর্বোচ্চ। তার পর থেকে ধারাবিহকভাবে বেড়ে চলছে এ জেলার পারদ।

সিলেটে গত ২ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। মাঝখানে সোমবার বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণ নেই।

এদিকে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। ফলে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেটবাসী।

শুক্রবার অফিস-আদালত ও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বাইরে সড়কে বের হননি। ফলে দুপুর পর্যন্ত নগরের সড়কগুলো ছিলো অনেকটাই ফাঁকা। তবে গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরে থাকাও দায় হয়ে উঠেছে।

নগরের শিবগঞ্জ এলাকার গৃহিনী তাসনিম আক্তার বলেন, ‘বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকায় আজ বাইরে বের হতে হয়নি, কিন্তু রান্নাবান্না তো করতে হচ্ছে! এই গরমে ঘরে বসে থাকাই দায়; সেখানে চুলার কাছে গেলে তো মনে হয় শরীরে আগুন ধরে যাচ্ছে। এরইমধ্যে কিছুক্ষণ পরপর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ফলে ঘরে থাকারও উপায় নেই।’

নগরের কিন ব্রিজ এলাকায় রিকশা থামিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন চালক কায়সার আহমদ।

তিনি বলেন, ‘শীত-গরম যেটাই বাড়ুক, সবসময়ই মোদের রিকশা নিয়ে বের হতে হয়। নাহলে খাওয়া জুটবে না, কিন্তু এই গরমে রিকশা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই কিছুক্ষণ পরপর ছায়ায় বিশ্রাম নিয়ে নিচ্ছি।’

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসেন বলেন, ‘দেশে সাধারণত মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসে গরম বেশি থাকে। বৃষ্টি হলে এই সময়ে গরম কিছুটা কমে। তবে আগামী কয়েকদিন এরকম গরম থাকতে পারে।’

তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর