ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে আরেক নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই খালকুলা গ্রামে শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ফাতেমা খাতুন (৪৫) ওই গ্রামের দুবাই প্রবাসী অবেদ আলীর স্ত্রী। আহত বিথী খাতুন (১৮) ফাতেমা ও আবেদ দম্পতির ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মেহেদি হাসানের স্ত্রী।
এ ঘটনায় বেতাই দুর্গাপুর গ্রামের সাগর মণ্ডল ও পশ্চিম ঝিনাইদহ গ্রামের সাগর ওরফে কুটিকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে গলা কাটা অবস্থায় বিথী খাতুন প্রতিবেশীর বাড়িতে উপস্থিত হন। মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা তাকে সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে স্থানীয় বেতাই চন্ডিপুর পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে তারা এসে ঘরে ফাতেমার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, ‘হত্যাকারীরা ওই দুইজনকে মৃত ভেবে বাড়িতে থাকা টাকা নিয়ে চলে যায়, কিন্তু বিথী বেঁচে ছিলেন। সে একটি চিরকুট লিখে রেখে যায়। তার সূত্র ধরে আমরা বেতাই দুর্গাপুর গ্রামের সাগর মণ্ডল ও পশ্চিম ঝিনাইদহ গ্রামের সাগর ওরফে কুটিকে আটক করেছি।
‘হত্যাকারীরা পেশায় রাজমিস্ত্রী। গত কয়েকদিন ধরে ওই বাড়িতে তারা কাজ করছিল। সম্প্রতি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে আনার খবর শোনার পর হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।’
মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাপস বলেন, ‘আহত বিথীর শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠিয়েছি।’