ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত ২১ মে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু। ভোটে হারার পর কারচুপি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে নির্বাচন ও ফলাফল প্রত্যাখানসহ ভোট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় চত্বরে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচনে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত সহ-সভাপতি। নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বাবলু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এবার যেহেতু দলীয় প্রতীক থাকছে না, তাহলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে; কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা হস্তক্ষেপ করে অনিয়ম ও কারচুপি করে এমপি-সমর্থিত প্রার্থীকে জয়ী করেছেন।
‘আমি মনে করি, এই উপজেলা নির্বাচনে ৫ থেকে ৭ শতাংশ মানুষও ভোট দেয়নি। এভাবে নির্বাচন হলে আগামীতে কোনো নির্বাচনেই জনগণ কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে না।’
নির্বাচন প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চললেও দুপুরের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে একাধিবার ভোট দিইয়েছেন। এছাড়া আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছের ও ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিয়েছে। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের পরিষদের তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলাম। নির্বাচনের আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়।’
দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির একজন আদর্শ ক্ষুদ্রকর্মী ও সমর্থক হয়ে আজীবন থাকতে চাই।’
ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৩ হাজার ১০৫ ভোট পেয়ে জামানত হারান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে মোছা. নার্গিস বেগম ৩০ হাজার ৩৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।