বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনারের মেয়ের মামলা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২২ মে, ২০২৪ ২১:২৫

সংসদ ভবন এলাকায় থাকতেন এমপি আনার। সেখান থেকে তিনি ভারতে যান। তাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদের পরামর্শে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন আনারকন্যা ডরিন।

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

সন্ধ্যায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মো. আহাদ আলী।

ওসি বলেন, ‘অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এখন তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হকও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংসদ ভবন এলাকায় থাকতেন এমপি আনার। সেখান থেকে তিনি ভারতে যান। তাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদের পরামর্শে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন আনারকন্যা ডরিন।

এর আগে, বুধবার কলকাতার গণমাধ্যম সূত্রে প্রথম জানা যায়, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যার শিকার হয়েছেন। এরপর এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

তিনি বলেন, ‘ভারতে গিয়ে নিখোঁজ বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়েছি। তবে, ইন্ডিয়ান বা কলকাতা পুলিশ আমাদের এখনও কিছু নিশ্চিত করেনি। তিনি জীবিত নাকি মৃত- তা এখনো অফিশিয়ালি নিশ্চিত নই। আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরের দিন, ১৩ মে ডাক্তার দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার, সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান তিনি। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি।

সন্ধ্যায় আজিম তার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন। পরে তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে বন্ধু গোপালকে ফোন না দেয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন।

দুদিন পর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় এমপি আনার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং ভিআইপিদের সঙ্গে আছেন। তাকে ফোন করার দরকার নেই। একই বার্তা পাঠান বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সহকারী রউফের কাছেও।

১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওইদিনই ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

এরপর বুধবার ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর হয়, কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্লাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে।

এনডিটিভি বলেছে, ১২ মে কলকাতায় আসার পর নিখোঁজ হওয়া এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরুর পর বুধবার সকালে তাকে হত্যার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমপি আনারের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়ে বলা হয়, সেখানে মরদেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়া গেছে।

পরে এনডিটিভির ওই প্রতিবেদন থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়।

এদিকে, কলকাতা পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া একজন ক্যাবচালক জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হওয়া ঝিনাইদহের এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে এবং মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ডিত করে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

পরে বিবিসি বাংলাও ক্যাবচালকের স্বীকারোক্তির তথ্য তাদের প্রতিবেদন থেকে সরিয়ে ফেলে।

পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, যে ফ্ল্যাটে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সেটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সেখানে কাউকে এখন ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

পুলিশের সূত্র বলেছে, সিসিটিভি ফুটেজে ওই ফ্ল্যাটে তিনজনকে ঢুকতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে একজন নারী। তবে ওই তিনজনকে সেখান থেকে বের হতে আর দেখা যায়নি।

এর আগে, ২০ মে এমপি আনারের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে। তারা জানতে পারে, কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারে।

এ বিভাগের আরো খবর