বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি: সিইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ মে, ২০২৪ ১৮:০৭

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে ৩০ শতাংশ ভোটকে কখনোই উৎসাহব্যঞ্জক মনে করি না৷ এর প্রধানতম কারণ হতে পারে যে দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল (বিএনপি) ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। তারা জনগণকে ভোট প্রদানেও নিরুৎসাহিত করেছে। ভোট নিয়ে কোনো সংকট নেই। সংকটটি হচ্ছে রাজনীতিতে।’

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে উপস্থিতির যে হার এটি থার্টি প্লাস হতে পারে। তবে একেবারে নির্ভুল তথ্য বুধবার পাওয়া যাবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তার মধ্যে ব্যালট পেপারে ১৩২টি আর ইভিএমের মাধ্যমে ২৪টিতে ভোট হয়েছে। যথারীতি বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

‘নির্বাচনে সহিংসতা ঘটেনি। হাতাহাতির মতো দু-একটা ঘটনা ঘটেছে। তাতে একজন কি দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য সহিংসতা হযনি। নির্বাচন মোটামুটি ভালোই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷’

তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মীও আহত হয়েছেন। সাহস করে যারা ছবি তুলতে গেছেন তারা হয়তো হেনেস্তার শিকার হয়েছেন। আমরা সঠিক তথ্য এখনও পাইনি। হাতাহাতিতে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বা দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল (সোমবার) রাতে একজনের হাত কেটে গেছে।’

সিইসি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন তৎপর ছিল। এবার প্রতিটি কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর অধিকসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল।

‘যেখানেই অন্যায়-অনাচার হযেছে, ভোট কারচুপির চেষ্টা হয়েছে সেখানেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে। মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু কারচুপির জন্য ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দুজন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে তা ভোটকে কেন্দ্র করে নয়। গরম বা অন্য কোনো কারণে। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

প্রথম ধাপে বলেছিলেন যে ধান কাটার মৌসুম ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই ধাপে আরও কম ভোট পড়ার কারণ কি?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে ৩০ শতাংশ ভোটকে কখনোই উৎসাহব্যঞ্জক মনে করি না৷ এর প্রধানতম কারণ হতে পারে যে দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল (বিএনপি) প্রকাশ্যে এবং ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। তারা জনগণকে ভোট প্রদানেও নিরুৎসাহিত করেছে। যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের চেষ্টা হতে পারে৷ পক্ষ-বিপক্ষ থাকতে পারে৷

‘ভোট নিয়ে কোনো সংকট নেই। সংকটটি হচ্ছে রাজনীতিতে। আমি মনে করি রাজনীতি যদি আরও সুস্থ ধারায় প্রবাহিত হয় তাহলে আগামীতে ভোটের স্বল্পতার সমস্যাটুকু হয়তো কাটিয়ে ওঠা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে ভোটারদের স্বশাসনটা বুঝতে হবে। স্বশাসনটা হচ্ছে নিজেই নিজেকে শাসন করবে তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। এটা হচ্ছে সচেতনতা, এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। সেদিক থেকে আমরা আশা করি, রাজনীতিতে যে সংকটটা রয়েছে সেটা কাটিয়ে উঠবে এবং সুস্থ ধারায় রাজনীতি প্রবাহিত হবে। ভোটাররা উৎসাহী হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবে।’

সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। বাংলাদেশ বিস্তৃত জমিন। কোথাও কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে৷ আমরা স্বচ্ছতা ও দৃশ্যমানতায় বিশ্বাস করি।

‘তথ্য জনগণের কাছে উপস্থাপনের মতো যেকোনো তথ্য আপনারা সংগ্রহ করবেন৷ আমাদের সাপোর্ট থাকবে। তথ্যগুলো যেন সঠিক হয় সেটি আমরা দেখব। বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য আমরা দুঃখিত। মিডিয়া যেন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, এজন্য আমরা আইনও করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর