বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি লোগো লাগিয়ে ৭ লাখ ইয়াবা পাচার, আটক ৪

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ২০ মে, ২০২৪ ২৩:০৪

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল আহসান বলেন, ‘তল্লাশি করলে গাড়ির পেছনের সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় রাখা দুটি বড় বস্তার ভেতরে পাওয়া যায় ৭ লাখ ইয়াবা। জব্দ করা হয় ইয়াবা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটিও। এসব ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকারও বেশি।’

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে আত্মসমর্পণ করে সাজা ভোগকারী মাদকের গডফাদারসহ চার মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার থেকে সাত লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানিয়েছে, আটককৃতরা সবাই পরস্পর নিকটাত্মীয় এবং সংঘবদ্ধ মাদক কারবারি চক্রের সদস্য।

সোমবার দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ব্যাটালিয়নটির সহ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল আহসান।

আটককৃতরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার ডেইল পাড়ার ৪০ বছর বয়সী আব্দুল আমিন, একই এলাকার ২৬ বছর বয়সী জাফর আলম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল এলাকার ৩৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও একই এলাকার ২৮ বছর বয়সী নুরুল আবছার।

র‌্যাব জানায়, আটককৃতদের মধ্যে আব্দুল আমিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত মাদক কারবারি। তিনি ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রথম দফায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন। পরে সাজাভোগ শেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি ইয়াবার বড় একটি চক্র নিয়ন্ত্রণ করেন। তার বিরুদ্ধে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তিনি আব্দুল আমিনের ভাগ্নে। তার বিরুদ্ধে ২টি মাদক মামলা রয়েছে। আটক নুরুল আবছার অপর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ভগ্নিপতি। তার বিরুদ্ধেও মাদক আইনে একটি মামলা রয়েছে। অপরজন জাফর আলম সংঘবদ্ধ মাদক কারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং বড় মাদকের চালান পাচারে তথ্য সরবরাহের দায়িত্ব পালন করতেন।

সংবাদ সম্মেলনে শরীফুল আহসান বলেন, ‘সোমবার মধ্যরাতে কুখ্যাত মাদক সম্রাট আব্দুল আমিনের নেতৃত্বে তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রাইভেট কারযোগে মাদকের বড় একটি চালান টেকনাফ থেকে কক্সবাজার শহরের দিকে পাচারের খবর পায় র‌্যাব। এ তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাটুয়ারটেক এলাকায় অস্থায়ী তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে। এক পর্যায়ে রাত সোয়া ২টার দিকে টেকনাফ দিক থেকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টিকার লাগানো বিলাসবহুল একটি প্রাইভেট কার সেখানে পৌঁছালে থামার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়, কিন্তু গাড়িতে থাকা লোকজন না থেমে দ্রুত চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর তাদের তাড়াকেরে থামাতে সমর্থ হয় র‌্যাব। এরপর গাড়িতে থাকা লোকজনের আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদে মাদকের চালান থাকার তথ্য স্বীকার করেন তারা।’

তিনি বলেন, ‘তল্লাশি করলে গাড়ির পেছনের সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় রাখা দুটি বড় বস্তার ভেতরে পাওয়া যায় ৭ লাখ ইয়াবা। জব্দ করা হয় ইয়াবা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটিও। এসব ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকারও বেশি।’

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবস্থানকারী জনৈক সিরাজের মাধ্যমে আব্দুল আমিনের নেতৃত্বের সিন্ডিকেটের সদস্যরা বড় বড় মাদকের চালান নিয়ে আসত। সীমান্তে সাগর ও নদীপথে মাদকের এসব চালান টেকনাফে এনে নিজেদের হেফাজতে মজুত রাখত। পরে কক্সবাজার শহরে আনার পর সিন্ডিকেটের সদস্যদের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হতো।’

আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর