বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর নামে ‘শান্তি পদক’ দেবে সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ মে, ২০২৪ ২১:০৭

প্রতি দু’বছর অন্তর বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো একক ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেয়া হবে। পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি পাবেন এক লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ১৭ লাখ টাকা। এছাড়া চার ভরির বেশি ওজনের ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের একটি পদক দেয়া হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘শান্তি পদক’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুধু শান্তি প্রতিষ্ঠায় নয়; মানবাধিকার, দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রকে আমলে নিয়ে এই পুরস্কার দেয়া হবে। আগামী ২০২৫ সাল থেকেই এ পদক দেয়া হবে।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটিকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের সামনে এর বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, প্রতি দু’বছর পর একজন ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেয়া হবে। পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি পাবেন এক লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ১৭ লাখ টাকা)। এছাড়া ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক দেয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও-কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়েছিল। এটির ৫০ বছর পূর্তি আমরা গত বছর উদযাপন করেছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে একটি শান্তি পুরস্কার তিনি প্রবর্তন করতে চান। সে পরিপ্রেক্ষিতে আজ (সোমবার) একটি নীতিমালা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

‘অনুমোদন করা নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত বা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেয়া যাবে।’

মাহবুব হোসেন জানান, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক-পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন- পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে এসব বিষয় বিবেচনায় নেয়া হবে।

তিনি জানান, একটি দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান বা সেই দেশের সংসদ সদস্যরা প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। নোবেল বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি কারও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি যত দূতাবাস রয়েছে সেই দূতাবাসের প্রধানরা বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করতে পারবেন।

বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশন বা দূতাবাসের প্রধানরাও প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। জাতিসংঘের কোনো সংস্থার প্রধানও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। তবে কোনো ব্যক্তি নিজে পুরস্কারের জন্য দাবি জানাতে পারবেন না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী একটি জুরিবোর্ড গঠন করা হবে। জুরিবোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। নিরপেক্ষ ও খ্যাতিসম্পন্ন লোকদের দ্বারা এই জুরিবোর্ড গঠিত হবে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হবে। ২৩ মে বা কাছাকাছি সময়ে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।’

অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ দেবে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আগামী বছর (২০২৫) প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার দেয়া হবে। মন্ত্রিসভা থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নীতিমালা নিয়ে কাজটি যাতে শুরু করা হয়, এটিকে যাতে পরবর্তীতে আইনের রূপান্তর করা হয়।

‘আইনের মধ্যে একটি তহবিল তৈরি করতে বলা হয়েছে। যে তহবিলে সরকার বা বাইরের যে কেউ অনুদান দিতে পারবেন। পরবর্তীতে আমরা তহবিল থেকেই সেই ব্যয়ভার নির্বাহ করতে পারব। সে পর্যন্ত সরকারই এই ব্যয়ভার বহন করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর