জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ রেললাইনের জামালপুর কোর্ট স্টেশন থেকে মেলান্দহ রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি একটি সেতুতে পুরাতন কাঠের স্লিপারের ওপরে দুই পাশে লোহার স্লিপারের বদলে বাঁশের ফালি ব্যবহার করা হয়েছে। বাঁশের ফালিগুলোকে স্লিপারের সঙ্গে লোহার পেরেক দিয়ে আটকানো হয়েছে।
এ ছাড়া পুরাতন ক্ষয়ে যাওয়া কাঠের স্লিপার স্থানচ্যুত না হতে পারে সেখানে বাঁশের ফালি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার বিকেলে জেলার মেলান্দহ উপজেলার চর বানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের জামালপুর কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন ও মেলান্দহ রেলওয়ে স্টেশনের মাঝামাঝি চরপলিশা বেতমারি গ্রামের একটি বিলের ওপর অবস্থিত রেলওয়ে সেতুতে এমন চিত্র দেখা যায়।
সেতুটি দিয়ে ঢাকা থেকে জামালপুর হয়ে মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ জোড়া ট্রেন চলাচল করে।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিটিশ আমলের এই সেতুতে অনেক পুরাতন ক্ষয়ে যাওয়া কিছু কাঠের স্লিপার রয়ে গেছে। কিছুদিন পর পর কাঠের স্লিপারগুলো যেন না সরে যায়, এ জন্য বাঁশের ফালি ব্যবহার করে আটকানো হয়েছে।’
‘সেতুর মাঝখানে একটা স্লিপার একেবারেই ক্ষয়ে গেছে। ট্রেন চলাচলের সময় বিকট শব্দ হয়। আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’
বেতমারি গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, ‘রেললাইনের কাছে বাড়ি হওয়ায় ট্রেন গেলে রাত বিরাতে চমকে উঠি। মনে হয় ব্রিজ ভেঙে পড়বে। এখানে বাঁশ ব্যবহার করা ঠিক হয় নাই। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এটি যেন ঠিকমতো মেরামত করা হয়।’
স্থানীয় আতিয়ার রহমান বলেন, ‘মাঝে মাঝে লোক আসে ঠিক করার জন্য। আমরা অনেকবার বলছি মেরামত করার জন্য, কিন্তু তারা শোনে না। রেল সেতুতে বাঁশের ব্যবহার ঠিক হয় নাই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে।’
সেতুতে লোহার স্লিপার লাগানোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জামালপুর রেলওয়ে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এ ধরনের বাঁশের ব্যবহার সেতুতে আছে কিনা জানি না, তবে কাছাকাছি ঝিনাই নদের রেল সেতুতে বাঁশের ব্যবহার ছিল এবং সদ্য সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে।’
তিনি জানান, বাঁশ দিয়ে স্লিপারগুলো ধরে রাখার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানান।