কুমিল্লায় লালমাই উপজেলার বরল-বাগমারা এলাকায় আলু রাখার হিমাগারে অবৈধভাবে রাখা ২১ লাখ ডিম ও ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি ও মিষ্টি তৈরির সিরকা জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিম ও মিষ্টি মজুতের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন। অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আছাদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে ২১ লাখ ডিম ও ৮০০ ড্রাম বা প্রায় ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি ও মিষ্টির সিরকা মজুত করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি আলুর কোল্ড স্টোরেজ। এখানে এমন বিপুল পরিমাণ ডিম ও মিষ্টি মজুত করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্তৃপক্ষ কোনো সদেুত্তর দিতে পারেনি। এমনকি কোল্ড স্টোরেজ পরিচালনায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে কৃষিপণ্য মজুতের লাইসেন্স প্রয়োজন হলেও কর্তৃপক্ষ সেটি দেখাতেও ব্যর্থ হয়।
‘পরে কৃষি বিপণনের লাইসেন্স না নিয়ে কোল্ড স্টোরেজ পরিচালনা করা এবং অবৈধভাবে বিপুল সংখ্যক ডিম ও মিষ্টি মজুত করায় কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর দুটি ধারায় ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একইসঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বাজারজাত করতে লিখিত অঙ্গীকারনামা রাখা হয় এবং কৃষি বিপণন কর্মকর্তাকে মনিটরিং করে বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়।’
অভিযানে লালমাই স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মঞ্জুর হোসেন, সদর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ ও জেলা পুলিশের একটি দল উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।