বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদারীপুরে আধা কিলোমিটার সড়ক সংস্কারকাজে অনিয়মের অভিযোগ

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া ঠিকাদারও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি নন। তিনি বিষয়টি এলজিইডির সঙ্গে বুঝবেন বলে জানান।

মাদারীপুর জেলা সদরে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ কাজে বাধা দিতে গিয়ে ঠিকাদারের লোকজন ও স্থানীয়দের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে পুরানবাজারের কাঁচাবাজার থেকে রাস্তি ইউনিয়নের কুমার নদের পাড় পর্যন্ত এ রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন রাস্তি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেল্লাল হোসেন নিজেই। শিডিউল অনুসারে কাজ করা হচ্ছে না, তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, রাস্তার সংস্কার করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিমেন্টের পরিমাণ কম দিয়ে নামমাত্র পাথর দিয়ে বেশি পরিমাণ বালুর ব্যবহার করছে। দায়সারা কাজ করা হলে অল্পদিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে।

স্থানীয়রা জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সদর উপজেলার রাস্তির পুরান বাজার থেকে কুমার নদেরপাড়ের ব্যবসায়ীদের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। রাস্তা তৈরিতে উপকরণ কম এবং মালামাল নিম্নমানের হলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে রাস্তাটি ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়বে।

তারা জানান, গ্রামবাসী এসব অনিয়মে বাধা দিতে গেলে চেয়ারম্যান নিজে ও তার লোকজন তাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তারা নিম্নমানের কাজের জন্যে ঠিকাদার ও সরকারি লোকজনকে দায়ী করছেন।

মিঠু হাওলাদার নামে একজন বলেন, ‘রাস্তাটি আমাদের প্রাণের দাবি ছিল। যে কারণে স্থানীয় সাংসদ শাজাহান খানের প্রচেষ্ঠায় কাজটি শুরু হয়েছে, কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন কম সিমেন্ট দিয়ে বেশি বালু আর খোয়া দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করছে। ফলে যেকোনো সময় রাস্তাটি দেবে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া পুরানো ইট দিয়ে গাইড লাইন তৈরি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঠিকাদারকে বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এমনকি তাদের বাধা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে।’

হাতাহাতির বিষয়টি জেনে সদর উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন ও এসও হেল্লাল হোসেন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এক কোটি ১৫ লাখ টাকা মূল্যে মেসার্স ইসতি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলেও বাস্তবায়ন করছে রাস্তির চেয়ারম্যান বেল্লাল হোসেন নিজেই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যাদেশ পেয়ে এ বছরের ডিসেম্বরে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে।

তবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া ঠিকাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি নন। তিনি বিষয়টি এলজিইডির সঙ্গে বুঝবেন বলে জানান।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মামুন বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে বাস্তবায়নকারী এলজিইডিকে সরেজমিনে গিয়ে কাজ তদারকি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনোভাবেই নিম্নমানের কাজ মেনে নেয়া যাবে না।’

আধা কিলোমিটারের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় অন্তত ৪০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে ছিলেন। পরে এলজিইডির মাধ্যমে কাজটি শুরু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর