বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাত দিয়েই তোলা যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং

  • প্রতিনিধি, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী)   
  • ১৫ মে, ২০২৪ ২২:৫৪

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের শুরুতেই নিম্নমানের ইট বালুর ব্যবহার শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে শুরু থেকেই এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কয়েকবার সড়কের কাজ বন্ধ করেও দেয় তারা। তবে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমকী-থানার হাট সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাত দিয়েই সড়ক থেকে কার্পেটিং তুলে ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

উপজেলার নোয়াখালী-চাটখিল মহাসড়ক থেকে আমকি হয়ে থানার হাট পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল। গত নভেম্বর মাসে টেন্ডারের মাধ্যমে ১ কোটি ৫২ লাখ টাকায় দুই কিলোমিটার এ রাস্তাটির সংস্কারের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম ট্রেডার্স।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের শুরুতেই নিম্নমানের ইট বালুর ব্যবহার শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে শুরু থেকেই এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কয়েকবার সড়কের কাজ বন্ধ করেও দেয় তারা। তবে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ নিয়ে ক্ষোভের জেরে বুধবার সকালে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে সড়কের ঢালাইয়ের কিছু অংশের কার্পেটিং হাত দিয়ে টেনে টেনে তুলে ফেলে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ক্ষোভ ঝেড়ে স্থানীয় মাহতলা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুরুতেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ শুরু করে। কয়েকবার বাধা দেয়ার পরও তারা শোনেনি। এতটাই নিম্নমানের বিটুমিন ও পাথর দিয়ে সড়ক ঢালাই করা হয়েয়ে যে, এলাকাবাসী তা হাত দিয়ে টেনে তুলে ফেলেতে পারছে।’

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয় বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে এম এম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রনি বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী সড়কের কাজ হচ্ছে। তারপরও এলাকার লোকজন কয়েকবার বাধা দিয়েছে। আজকে তারা ফের বাধা দেয়ার পর সড়কের কাজ বন্ধ আছে।’

উপজেলা প্রকৌশলী এমদাদুল হকের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, সড়কের পিচ ঢালাই হাত দিয়ে টেনে টেনে তোলা যাচ্ছে। পরে ঠিকাদারের লোকজন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে শিডিউল অনুযায়ী তাদের সার্বক্ষণিক তত্বাবধায়নেই সড়কের কাজ চলছে।’

ঘটনার পর জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সড়কের নির্মাণ কাজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর