বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সেফটি অফ লাইফটাকে প্রাধান্য দিয়েছি’ 

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ১৪ মে, ২০২৪ ১৯:৪৪

এমভি আব্দুল্লাহর ক্যাপ্টেন বলেন, ‘দস্যুরা স্পিডবোটে এসে জাহাজে উঠে ব্রিজে চলে আসে। সেকেন্ড অফিসার আটক হওয়ার পর আমি গিয়ে দেখি একে-৪৭ তাক করে আছে তার দিকে। আমি যেতেই আমার দিকেও একে-৪৭ তাক করে। আমি স্ট্রং ছিলাম।’

জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে এমভি আব্দুল্লাহ। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র, বন্দর চেয়ারম্যান, কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাবিকদের স্বজনরা।

বন্দরে পৌঁছে জাহাজের ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম দিন যখন আমরা দস্যু দ্বারা আক্রান্ত হলাম তখন সেকেন্ড অফিসার ব্রিজে ছিলেন। আমি নিচে নেমে অ্যালার্ট দিচ্ছিলাম।

‘সবকিছু অতি দ্রুত ঘটছে। দস্যুরা স্পিডবোটে এসে জাহাজে উঠে ব্রিজে চলে আসে। আমি আর সেকেন্ড অফিসার হিডেন রুমে যেতে পারিনি। সেকেন্ড অফিসার আটক হওয়ার পর আমি গিয়ে দেখি একে-৪৭ তাক করে আছে তার দিকে। আমি যেতেই আমার দিকেও একে-৪৭ তাক করে। আমি স্ট্রং ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমি হাত তুলে সারেন্ডার করে বললাম, আমরা বাংলাদেশি, আমরা মুসলিম। আমরা রোজা আছি। দস্যুরা সবাইকে ডাকতে বলে। সবাই চলে আসে সেখানে। এরপর আমরা সবাই সেখানেই ব্রিজের মধ্যে সারাদিন সারারাত ছিলাম।’

ক্যাপ্টেন বলেন, ‘মৃত্যুর হুমকি ছিল। নাবিকদের কেউ কেউ কান্নাকাটি করছিল। আমার মনে ভয় ছিল। কিন্তু বডি ল্যাঙ্গুয়েজ স্বাভাবিক রেখেছি। সবাইকে হ্যান্ডেল করে, যেন আমাদের কোনো ক্রুর কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখি। সেফটি অফ লাইফটাকে প্রাধান্য দিয়েছি।’

আব্দুর রশিদ বলেন, ‘সোমালিয়ার দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে আমরা ২৩ নাবিকই দেশে পৌঁছতে পেরেছি। সরকার কৌশলগতভাবে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি বলেছিলাম- বিদেশি নৌ-বাহিনী যেন ভায়োলেন্স না করে, যাতে আমাদের নাবিকদের কারও প্রাণ না যায় বা জাহাজের কোনো ক্ষতি যেন না হয়।

‘আমরা সবাই সুস্থ ও অক্ষতভাবে ফিরতে পেরেছি, পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছি। এ এমন অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’

মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নাবিকদের বহনকারী জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর এসে পৌঁছলে সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। স্বজনদের পাশাপাশি কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এখানে উপস্থিত ছিলেন।

জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর নাবিকদের কাছে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনেরা। জেটিতে তাদের কারও হাতে ছিল ফুল, কারও হাতে কেক। অনেকের চোখেই ছিল স্বজনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দাশ্রু।

এ বিভাগের আরো খবর