পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গত নির্বাচন নিয়ে বিএনপির চক্রান্ত ভেস্তে যাওয়ার পর তারা আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও মানববন্ধনে' তিনি এমন অভিযোগ করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার এই কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনি হত্যার কোনো প্রতিবাদ না করে বিএনপি-জামায়াত ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট নিয়ে অপরাজনীতি করছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে তারা ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিএনপি। আমাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে পুরো পৃথিবী সোচ্চার। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অপচেষ্টা করে, এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে তারা একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে।’
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে চুপ থাকা ইসলামী দলগুলোরও সমালোচনা করেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে। তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মুকাররমে দাঁড়িয়ে যায়। এরা আসলে ইসলামপ্রেমী নয়, এরা মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।’
ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? আপনারা কোথায় এখন? নির্বাচনের আগে সরকারকে নামানোর জন্য বায়তুল মুকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন। ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না আপনাদের।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সমালোচনাকারী নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনেকেরই দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়, শরীরের চেয়ে গাল বড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, বিষোদগার করে। কিন্তু নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তো তাদের কথা বলতে শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে?’
ফিলিস্তিনিদের প্রতি অটল সমর্থন ব্যক্ত করে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও মানুষের অবস্থান সবসময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।’
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন টয়েলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, স্বাধীনতা পরিষদের নেতা ফরিদুজ্জামান, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।