নীলফামারীর ডিমলা সদর ইউনিয়নে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় আদিল শাহারিয়ার ও সাইদুজ্জামান সৈকত নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ওই তরুণী স্কুল ও প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার সময় ডিমলা স্টারল্যান্ড স্কুলের সামনে আদিল শাহারিয়ার তার পথরোধ করে। পরে ফুঁসলিয়ে আদিল শাহারিয়ার ও সৈকত মোটরসাইকেলে তুলে তাকে ডিমলা ফজিলাতুন্নেসা স্কুলের পেছনে নিয়ে যায়। এরপর প্রমিত দাস হেঁটে সেখানে আসে।
ওই নির্জন স্থানে উল্লিখিত তিন তরুণ বিভিন্নভাবে মেয়েটিকে কুস্তাব দেয়। তারা জবরদস্তি মেয়েটির শরীরের স্পর্শকাতর স্থান স্পর্শ করে এবং আদিল শাহারিয়ার মোবাইল ফোনে তা ভিডিও করে। এক পর্যায়ে ওই আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে মোটরসাইকেলে প্রমিত দাসের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে ওই তিনজন পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই দুই যুবককে আটক করে।
রোববার সন্ধ্যার পর এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ডিমলা থানায় একটি মামলা করা হয়। আর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রমিত দাস প্রায়ই মেয়েটিকে উত্যক্ত করত। মোবাইল ফোনেও বিরক্ত করত সে। এতে মেয়েটি সাড়া না দেয়ায় প্রমিত ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ডিমলা থানার ওসি দেবাশীষ কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক দুজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।