সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে ২৩ নাবিকসহ মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ অবশেষে কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হওয়ার এক মাস পর জাহাজটি দেশের বন্দরে নোঙ্গর করল।
জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম সূত্রে সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানা গেছে।
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে। বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।
নাবিকেরা কখন স্বজনদের কাছে ফিরতে পারবেন- এমন প্রশ্নে কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাহাজটিতে আজই (সোমবার) নতুন করে ২৩ জন নাবিক যোগদান করবেন। এ জন্য নতুন নাবিকেরা রওনা হচ্ছেন কুতুবদিয়ার উদ্দেশে। ‘নতুন নাবিকরা এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে যোগদানের পর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকরা দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ বন্দর নগরের সদরঘাটে কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’
জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, এমভি আব্দুল্লাহ সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করেছে। কুতুবদিয়ায় কিছু চুনাপাথর আনলোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি।
তিনি বলেন, জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ আছেন। এখন পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের শিকার হওয়ার দীর্ঘ এক মাস পর ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পান এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।
মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি। সেখানে পণ্য খালাস শেষে দুবাইয়ের আরেক বন্দর থেকে পণ্য লোড করে এটি বাংলাদেশের উদ্দেশে আমিরাতের বন্দর ত্যাগ করে। অবশেষে সোমবার সন্ধ্যায় এটি কুতুবদিয়ায় পৌঁছে নোঙ্গর ফেলে।