সিলেট নগরের হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
নগরের হোল্ডিং ট্যাক্স আচমকা কয়েক শ’ গুণ বাড়িয়ে দেয়া নিয়ে ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশ্বাস দেন।
জানা যায়, পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর ৩০ এপ্রিল হোল্ডিং ট্যাক্সের নতুন তালিকা প্রকাশ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। নতুন তালিকায় হোল্ডিং ট্যাক্স আবাসিক ভবনের প্রতি বর্গফুট ৫ টাকা ও বাণিজ্যিক ভবনের প্রতি বর্গফুটের জন্য ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগে আবাসিক ভবনের প্রতি বর্গফুট তিন টাকা ও বাণিজ্যিক ভবনের প্রতি বর্গফুটের জন্য পাঁচ টাকা নির্ধারিত ছিল; যদিও মেয়রের কাছে আবেদন করে অনেকে এর চেয়ে কম ট্যাক্স দিতেন।
সিটি করপোরেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ সালে মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান শেষে হোল্ডিং সংখ্যা পুননির্ধারিত হয়। এতে নগরের পুরনো ২৭টি ওয়ার্ডে হোল্ডিং নির্ধারিত হয় ৭৫ হাজার ৪৩০টি। এসবের ট্যাক্স আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৩ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ৪০০ টাকা।
নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্যের সময় ধরা হয় ২০২১-২২ সাল। সেই করারোপের তালিকাই ৩০ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নগরজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নতুন নির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্সকে অযৌক্তিক ও অনায্য উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন নগরের বাসিন্দারা। এমন দাবিতে প্রতিদিনই নগরে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন।
এই ক্ষোভ-প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা সভা করে ট্যাক্স নির্ধারণ নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ ব্যাপারে ২৭টি ওয়ার্ডে রিভিউ বোর্ড গঠন করা হবে।
পূর্বনির্ধারিত সময় বর্ধিত করে ২৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আবেদন রিভিউয়ের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের এসেসমেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিসিক মেয়র বলেন, অনেক প্রভাবশালীরা কোনোদিন কর পরিশোধ করেননি। অনেকে আবার অনেক বছর ধরে নিয়মিত কর পরিশোধ করেন না। এভাবে চললে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন হবে কিভাবে?