বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে এমভি আব্দুল্লাহ

  •    
  • ১১ মে, ২০২৪ ১৬:৫৯

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। এটি ১৩ মে বিকেল নাগাদ কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুদিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাকি পণ্য খালাস করবে।

অবশেষে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। সোমবার বিকেল নাগাদ এটি কুতুবদিয়ায় পৌঁছবে। সেখানে বহির্নোঙরে দু’দিন ধরে চলবে পণ্য খালাস। এরপর চট্টগ্রাম বন্দরে বাকি পণ্য খালাস করবে জাহাজটি।

কুতুবদিয়ায় পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে না সড়কপথে চট্টগ্রামে ফিরবেন- সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে জানায়নি মালিক পক্ষ। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার টন পাথর রয়েছে।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। এটি প্রথমে কুতুবদিয়ায় যাবে; এরপর চট্টগ্রামে আসবে।

তিনি বলেন, ‘এমভি আব্দুল্লাহ ১৩ মে বিকেল নাগাদ কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুদিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাকি পণ্য খালাস করবে।

‘এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছবেন, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রামে যাবেন, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’

জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ শ্রীলংকার কাছে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। ভারতের পূর্ব উপকূলে জাহাজের অবস্থান দেখানো হয় মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েব ম্যাপে। মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছার সম্ভাব্য সময় দেখানো হচ্ছে ১৪ মে।

গত ৩০ এপ্রিল ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ২৩ জন নাবিকসহ দেশের পথে রওয়ানা হয় জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ।

গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর ১৩ এপ্রিল জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজটি। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজের পাহারায় এমভি আব্দুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়।

বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চ চাপে পানি ছিটানো যায়।

এ বিভাগের আরো খবর