আঙুর বিদেশি ফল হলেও জনপ্রিয় এ ফলটির পরীক্ষামূলক চাষে সফল হয়েছেন ফরিদপুর জেলার একজন তরুণ উদ্যোক্তা আহম্মেদ ফজলে রাব্বি।
তিনি শহরতলীর শোভারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক বছর আগে ৭০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই তিনি সফলতার মুখ দেখলেন। আগামী বছর থেকে তিনি বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
আঙুর দেখতে আশপাশ থেকে অনেকেই যান রাব্বির বাগানে। যারা যান তাদের তিনি নিজ বাগানের আঙুর তুলে খাওয়ান।
দর্শনার্থীরা জানায়, আঙুর বেশ মিষ্টি এবং সুস্বাদু। বাজার থেকে কেনা আঙুরের থেকে কোনো অংশে কম নয়, বরঞ্চ কোনো কোনোটা আরও বেশি মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয়েছে।
থ্রি স্টার গ্রিন বাগানের মালিক আহম্মেদ ফজলে রাব্বি জানান, ছোট বেলা থেকেই গাছপালা লাগানোর শখ তার।তিনি সখের বশে নিজ বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ফলের গাছ লাগিয়েছেন। এখন সে জমি লিজ নিয়ে পরীক্ষামূলক আঙুর চাষ করে সফলতা পাওয়ায় আগামী বছর থেকে তিনি বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করবেন।
ফজলে রাব্বি জানান, এখন তার বাগানে যে আঙুর আছে, এগুলো সবই দর্শনার্থীদের জন্য। এ বছর তিনি আঙুর বিক্রি করবেন না।
এ বছর তিনি তার বাগানে বাইকুনুর, ডিক্সন, ফ্যান্টাসি সিডলেস, নারু সিডলেস, মার্সেল ফোরাস, ভাইটালিয়া আরলি রেডসহ বিভিন্ন প্রজাতির আঙুরের চাষ করেছেন।
আহম্মেদ ফজলে রাব্বি জানান, আঙুরের পাশাপাশি মাল্টা, কমলা, লিচু, আনারসহ বিভিন্ন ফলের বাগান করতে চান তিনি। এক্ষেত্রে তিনি কৃষি বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ফরিদপুর গার্ডেনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাগর নন্দী বলেন, ‘আবহাওয়া, মাটি ও বাণিজ্যিক চাষের জ্ঞানের অভাবসহ নানা কারণে বাংলাদেশে ফলটি চাষের আগ্রহ খুব একটা দেখা যায় না, তবে ফরিদপুরের আহম্মেদ ফজলে রাব্বি তার বাগানে পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ করে যে আঙুর ফলতে সক্ষম হয়েছে তা অতুলনীয়, মিষ্টি এবং সুস্বাদু, সে সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে আঙুর উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পাবে বলে আমি মনে করি।