বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ১০ মে, ২০২৪ ১০:১৬

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার কাজ শেষ করেনি। প্রতিবেদন পেলে উদ্ধারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনীর অভিযানকারী দল।

কর্ণফুলী থানার জুলধা মাতব্বর ঘাট সংলগ্ন এইচএম স্টিল কারখানার পাশে কর্ণফুলী নদী থেকে বিমানের অংশটি বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উদ্ধার করা হয়, তবে এখনও উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।

বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল একেএম শফিউল আজম ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উদ্ধারকারীরা জানান, বিমানের ভগ্নাংশ খুঁজে পেতে বিমান বাহিনীর আধুনিক উদ্ধার জাহাজ ‘বলবান’ বিমানের ভাঙা অংশ উদ্ধারে কাজ চালিয়েছে। এ ছাড়াও বিমানটি খুঁজতে বিশেষ ‘সোনার সিস্টেম’ও ব্যবহার করা হয়েছিল।

উদ্ধারকারীরা তিন ভাগে বিমানটি খুঁজছেন। যে জায়গায় বিমানটি পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে লাল রংয়ের একটি বেলুন দিয়ে শনাক্ত করেছেন, সেখানে ডুবুরি দিয়ে খোঁজা হয়েছিল।

অন্য একটি দল নদীর পাড়ে খোঁজ চালায়। এ ছাড়া আরেকটি দল জহুরুল হক ঘাঁটিতে বসে সবকিছু মনিটরিং করে। অবশেষে নদীতে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল নামার এক ঘণ্টার মধ্যে বিমানটি নদীতে শনাক্ত করে উপরে জাহাজে তোলা হয় বলে জানান নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।

উদ্ধারকাজে সেনা, নৌ, বিমানসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার কাজ শেষ করেনি। প্রতিবেদন পেলে উদ্ধারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

পতেঙ্গা এলাকার কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের ১১ নম্বর ঘাটের নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের অপর পাশে এইচএম স্টিল মিল প্রান্তে বিমানটি আছড়ে পড়ে। প্রাথমিক অবস্থায় যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে আগুন লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এ সময় পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন, পিএসসি এবং স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে নেমে পড়েন।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট আসিম জাওয়াদ মারা যান।

অপর পাইলট মো. সোহান হাসান খান বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগেও রাশিয়ার তৈরি ইয়াক-১৩০ মডেলের তিনটি প্রশিক্ষণ বিমান চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হয়। ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালীর পুটিবিলা ও ছোট মহেশখালীতে বিধ্বস্ত হয়। এর আগে একই বছরের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার থানার কাইশ্যাঘোনা এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এসব ঘটনায় পাইলটরা আহত হলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

ইয়াক-১৩০ মডেলের যুদ্ধবিমান ১৯৯৬ সালে প্রথম আকাশে উড্ডয়ন করে। এরপর ২০০২ সালে একে রুশ সামরিক পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রধান আকাশযান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ২০১৫ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে বিমানগুলো কেনা হয়।

রাশিয়ার সমরাস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইরকুত করপোরেশন এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান নির্মাণ করে থাকে। যুদ্ধবিমানগুলো মৌলিক ও যুদ্ধ প্রশিক্ষণের জন্য উপযোগী। পাশাপাশি একে আক্রমণের কাজেও ব্যবহার করা যায়।

এ বিভাগের আরো খবর