চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদ রিফাতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শুধু পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন নয়, তার মৃত্যুতে স্তব্ধ স্থানীয়রাও।
এলাকার মেধাবী এ সন্তানের এমন অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।
মুহাম্মদ অসিম জাওয়াদ রিফাত ১৯৯২ সালের ২০ মার্চ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ডা. মো. আমান উল্লাহ এবং মাতার নাম নিলুফা আক্তার খানম।
রিফাত সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে ২০০৭ সালে এসএসসি ও সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে ২০০৯ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে বিএসসি (অ্যারো) পাস করেন।
পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অফ অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।
তিনি বিমানবাহিনীতে চাকরিকালে বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিটে নিয়োজিত ছিলেন। চাকরি জীবনে তিনি পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এছাড়া তিনি ভারতীয় বিমানবাহিনী কোর্সে অংশগ্রহণ করে ‘Chief of Air Staff’s Trophy for Best in Flying (Indian Air Force)’ অর্জন করেন।
চাকরিকালে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ অসিম জাওয়াদ দেশে ও বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সেও অংশগ্রহণ করেন। বিইউপি থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র, বাবা-মাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।