কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ায় মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা গরু পাচারকারী চক্রের সদস্যদের সঙ্গে ডাকাতদলের সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত এবং একজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল নাইম্ম্যারঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানিয়েছেন।
নিহত ৪৭ বছর বয়সী আবুল কাশেম গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। আহত ৪০ বছর বয়সী মনির আহমদ ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকার মৃত আলী মদনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ‘গর্জনিয়া সীমান্তে মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু পাচারের কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের নাইম্ম্যারঘোনা এবং জোয়ারিয়ারনালা ইউনিয়নের মালাপাড়া সেগুন বাগানের মধ্যবর্তী এলাকায় শাহীন নামের এক ডাকাতের নেতৃত্বাধীন চক্রের সদস্যরা গরুর একটি চালান পার করছিল। এ সময় গরু পারাপারে নিয়োজিত শ্রমিকরা (গরু টানা পার্টি) স্থানীয় একটি ডাকাতদলের কবলে পড়ে।
‘ডাকাতদলের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে গরুগুলো ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে গরু পাচারে জড়িত এক শ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত এবং একজন আহত হয়েছে। পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।’
ওসি জানান, সংঘবদ্ধ ডাকাতদল শাহীন বাহিনীর মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুর চালান গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হয়। পরে সেখানে গরু চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা শাকিল আদনান এবং তারেক মিশুসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে চালানগুলো হেফাজতে নেয়া হয়। পরে সুবিধাজনক সময়ে গরুগুলো কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান ওসি আবু তাহের দেওয়ান।
তিনি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।