চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ অসিম জাওয়াদ নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে তদন্ত কমিটিতে কারা রয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
জানা যায়, সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা) এয়ার ভাইস মার্শাল মু. কামরুল ইসলাম, ঢাকা থেকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম দুর্ঘটনা-পরবর্তী কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে কর্ণফুলী নদীতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (ইয়াক-১৩০) বিধ্বস্ত হয়। এ সময় পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ অসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে নেমে পড়েন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট অসিম জাওয়াদ মারা যান। অপর পাইলট মো. সোহান হাসান খান চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটি উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।