বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের নাম বাদ দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ মে, ২০২৪ ২০:৪৪

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, ‘খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিক‍্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর দুটি অবজারভেশন আছে। প্রথমত, শেখ হাসিনা নামটি বাদ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রকল্পে ম্যুরাল যেটি আছে সেটি বাদ দিতে হবে।’

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) খুলনায় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা’।

নিজের নাম যুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নামকরণে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই প্রকল্প থেকে তার নাম বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সে সঙ্গে সেখানে তার কোনো মুর‌্যাল হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি ভবনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।

পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে না জানিয়ে খুলনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের নাম ব্যবহার করায় প্রধানমন্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জানিয়ে সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিক‍্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদন করেছেন। এই প্রকল্পে তার দুটি অবজারভেশন আছে। প্রথমত, শেখ হাসিনা নামটি বাদ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রকল্পে ম্যুরাল যেটি আছে সেটি বাদ দিতে হবে।’

সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, ‘মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন যে এই নাম পরিবর্তন করতে হলে এখন আইন পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তিনি প্রকল্পে তার নাম ব্যবহারের অনুমতি দেবেন না।’

এদিকে বৈঠকের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ভবিষ্যতে নিজের নামে কোনো প্রকল্পের নামকরণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে সঙ্গে অনুমতি না নিয়ে তার নাম জুড়ে দেয়ায় আমলাদের ওপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। শেখ হাসিনা সতর্ক করে দেন, ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পে তার নাম যুক্ত হলে তিনি সেই প্রকল্প অনুমোদন দেবেন না।

প্রসঙ্গত, এর আগে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্পের নাম ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ রাখার ক্ষেত্রেও আপত্তি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা। তবে সেবার দলের সিনিয়র নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছিলেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর