বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনআইডি-জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি, ইসি কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ মে, ২০২৪ ১৮:৪৭

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকার বিনিময়ে অনলাইনে এনআইডি ও অন্যান্য সনদ প্রদানের বিষয়টি আসামিরা স্বীকার করেছেন বলে জানান সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

চাহিদামতো টাকা দিলেই লিটন কর্মকার নিজের তৈরি করা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম নিবন্ধন সনদ ও কোভিড-১৯ টিকা কার্ডের সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের দিতেন। আর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি সার্ভার থেকে তথ্য দিয়ে তাকে সহায়তা করতেন ইসির ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন।

এসব গোপন তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চক্রের এই দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। মঙ্গলবার লিটন মোল্লাকে বাগেরহাট থেকে ও জামাল উদ্দিনকে পাবনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারি করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায় সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ। দীর্ঘদিন গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে সিটিটিসি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার মো. জামাল উদ্দিন নির্বাচন কমিশনের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। তার সহায়তায় লিটন মোল্লা নির্বাচন কমিশন সার্ভার থেকে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতেন। দেখতে একইরকম হলেও নকল ওয়েবসাইট থেকে বানানো এসব নকল সনদ বাণিজ্য করে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লিটন।

সিটিটিসি কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তাররা অর্থের বিনিময়ে জাল এনআইডি প্রদান, হারানো এনআইডির কপি তৈরি, এনআইডির তথ্য সংশোধন, জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন, কোভিড-১৯ এর টিকা কার্ড এবং টিন (TIN) সার্টিফিকেটের কপি তৈরি করে সরবরাহ করতো। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকার বিনিময়ে অনলাইনে এনআইডি ও অন্যান্য সনদ প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করেছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘এ ধরনের কাজের বিনিময়ে তারা কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতো। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা গ্রাহক সংগ্রহ করতো। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লিটন নিজের তৈরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব জাল সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের প্রদান করত এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করত। এভাবে তারা প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে স্বীকার করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারী জড়িত। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে। তারা আদালতের আদেশে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর