মৌসুমী ফলের জন্য দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নাটোরের খ্যাতি আছে। তার মধ্যে আম ও লিচু অন্যতম। তবে ফল পরিপক্ব হওয়ার আগেই তা বাজারে উঠিয়ে বাড়তি অর্থ আয়ের চেষ্টা দেশের অন্যান্য জেলার মতো এখানেও আছে।
অপরিপক্ব ফল বাজারে তোলার সেই অপচেষ্টা রুখতেই বৃহস্পতিবার নাটোরে নিরাপদ আম ও লিচু আহরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাছুদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন, উপ-পরিচালক (উদ্যান) শামসুর নাহার ভুঁঞা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহানসহ অন্যরা।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার আম, লিচুসহ গ্রীষ্মকালীন ফল দেরিতে এসেছে। এর মধ্যে কোন ফল কখন গাছ থেকে আহরণ করে বাজারজাত করা যাবে সভায় তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ আম বা লিচু বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আম চাষী, বাগান মালিক, আড়ত মালিক ও ব্যবসায়ী- সবার ক্ষেত্রেই এ নির্দেশনা প্রযোজ্য।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মোজাফর লিচু ২০ মে থেকে এবং বোম্বাই ও চায়না লিচু ২৭ মে থেকে আহরণ করা যাবে। আর গুটি আম ১৫ মে, গোপালভোগ ২৫ মে, রানী পছন্দ ও খিরসাপাত ৩০ মে থেকে আহরণের সময় ধার্য করা হয়েছে।
অন্যান্য আমের মধ্যে লক্ষণভোগ ৫ জুন, ল্যাংড়া ১২ জুন, মোহনভোগ ২০ জুন, হাঁড়িভাঙা ২৫ জুন,ফজলী ৩০ জুন, আম্রপলি ২৫ জুন, মল্লিকা ৫ জুলাই, বারি আম ১০ জুন, আশ্বিনা ২০ জুলাই এবং গৌরমতি ২০ আগস্ট থেকে আহরণ ও বাজারজাতকরণ করা যাবে।