রাজধানীর কদমতলীর দনিয়া এলাকায় বাসা থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। খেলতে গিয়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা পরিবারের।
বাবা-মা শিশুটিকে ঘরে রেখে তার জন্য জামা কিনতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরে এসে তারা আর ছোট্ট নুসরাত জাহান তাজরিনকে (১০ বছর) জীবন্ত পাননি।
বুধবার রাত ৯টার দিকে শিশু নুসরাতকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসাক রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত শিশু নুসরাতকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার মা ইতি বেগম ও বাবা মো. ইউসুফ দফাদার।
ইউসুফ দফাদার জানান, তিনি সৌদি প্রবাসী। দুদিন আগে ছুটিতে সৌদি থেকে বাংলাদেশে আসেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ভাই-বোনের মধ্যে নুসরাত ছিল বড়।
তিনি বলেন, রাতে নুসরাতকে বাসায় রেখে আমরা মা-বাবা ও ছোট্ট শিশুকে নিয়ে বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে দনিয়া মার্কেটে যাই নুসরাতের জন্য জামা কিনতে। মাত্র ৪০ মিনিটের ব্যবধানে বাসায় এসে তালা খুলে ঘরে প্রবেশ করে দেখি, আমার নুসরাত জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে।
নুসরাতের বাবা বলেন, আমার ফুটফুটে মেয়ে সব সময় হাসিখুশি থাকতো। প্রায় সময় ওড়না বা তার মায়ের শাড়ি কাপড় পরে বউ সাজতো। আমাদের ধারণা ওড়না দিয়ে খেলাধুলা করার সময় গ্রিলের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লেগে অচেতন হয়ে পড়ে নুসরাত।
তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার নলচর গ্রাম। দনিয়ার ভাড়া বাসায় থাকি। তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল নুসরাত।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।