প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভোটার উপস্থিতিও সন্তোষজনক বলে মন্তব্য তার।
প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা দাবি করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং এতে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নিন্দুকেরা বিশেষ করে বিরোধী দল যে বক্তব্য রেখেছে তা হাস্যকর বলে প্রমাণ হয়েছে।
‘অনেকের আশঙ্কা ছিল ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন খুনোখুনি, মারামারি, রক্তারক্তি অবস্থায় সমাপ্ত হবে। এই নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে কোথাও ক্যাজুয়্যালটি নেই, প্রাণহানির ঘটনা নেই। কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, কিছু আহত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ নির্বাচনে বিএনপির অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বহিষ্কার করেও তাদের ঠেকানো যায়নি। আসলে স্থানীয় প্রয়োজনে স্থানীয়দের নিবৃত্ত রাখা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বেশি জিতেছেন। অন্য দলের হিসাবটা পরে দিতে পারব। আমরা মনে করি ভোটার টার্নআউট সন্তোষজনক। প্রাণহানি নেই নির্বাচনে- এটাকে শান্তিপূর্ণই বলতে হবে।
‘নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন খুবই দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। দলের নেতাকর্মীরাও যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। যে কারণে প্রথম ধাপে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।’
জনগণ নির্বাচন বয়কট করেছে- বিএনপির এমন বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি- যেখানে বিএনপি ও তাদের সমমনা অন্য দল নেই। তারপরও এই প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে এমন উপস্থিতি সন্তোষজনকই বলছি। বিএনপির এ ধরনের বক্তব্য প্রলাপ।’
নির্বাচন-পরবর্তী এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।