‘ভোট গ্রহণের তিন ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ভোট পড়েছে ১১০টি, তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের সংখ্যা বাড়তে পারে।’
কথাগুলো বলছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার নুর ইসলাম।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটের এমন চিত্র দেখা গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের দুই উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে।
দেশের ১৩৯ উপজেলায় বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট চলছে বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলায়। বালিয়াডাঙ্গীর আট ইউনিয়নের ৫৪ এবং হরিপুরের ছয় ইউনিয়নের ৩৬ কেন্দ্রের ৮০৮টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুই উপজেলায় ভোটের সার্বিক চিত্র
বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার ২০টির বেশি কেন্দ্র ঘুরে দুপুর একটা পর্যন্ত ভোটার লাইনগুলো ফাঁকা পাওয়া যায়। দুই-একজন করে ভোটারকে ভোট দিতে দেখা যায়।
অনেক কেন্দ্রে ভোটের লাইন দেখা যায়নি। সেসব কেন্দ্রে বুথে অলস সময় পার করতে দেখা যায় ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মী ও প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের।
কী বলছেন ভোটাররা
মোশাররফ ইসলাম নামের এক ভোটার বলেন, ‘সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে তেমন ভোটার নাই। লাইনগুলো ফাঁকা।
‘নিজে ভোট দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে আসলাম দুপুরে। তবুও দেখছি ফাঁকা। ভোটের আমেজ বুঝি এখন এটাই।’
গীতা রাণী নামের এক ভোটার বলেন, ‘সকাল থেকে রোদ ছিল না। আবহাওয়া ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সকালেই ভোট দিয়েছি।
‘প্রতিবেশীদের সাথে আবারও ভোটকেন্দ্রে আসলাম দেখতে। ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে, তবে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম।’
ভোটার উপস্থিতি বাড়ার আশা
ঠাকুরগাঁওয়ের দুই উপজেলার একাধিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার (এসপি) উত্তম প্রসাদ পাঠক।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ডিসি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। মানুষজন নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করছেন। ভোটার উপস্থিতি বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও বাড়বে।
‘ভোটারগণ যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদান করেন, সে জন্য তৎপর রয়েছে প্রশাসন।’
উপজেলাভিত্তিক ভোটার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা
বালিয়াডাঙ্গী
উপজেলায় পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮২ হাজার ৯৫৪ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৭৭ হাজার ৯০৯। এ উপজেলায় মোট ভোটার এক লাখ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন।
হরিপুর
উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ৪৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬২ হাজার ৩৬৯ ও নারী ভোটার ৫৮ হাজার ১২৮ জন।
দুই উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ৮ প্লাটুন বিজিবি, এক উপজেলায় ১৬ জন করে দুই উপজেলায় ৩২ জন র্যাব মোতায়েন করা হয়।
দুই উপজেলায় তিনটি করে ছয়টি গাড়িতে আনসার সদস্যরা টহলে আছেন।
বালিয়াডাঙ্গীতে আটজন ম্যাজিস্ট্রেট ও হরিপুরে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনি দায়িত্বে আছেন।
দুই উপজেলায় ৫৮৭ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গীতে ৩৫৭ ও হরিপুরের কেন্দ্রগুলোতে ২৩০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।