রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিদ্যুতের যে চাহিদা তার চেয়ে বর্তমানে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে শাসক দল আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জানুয়ারি ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।’
এ বছরের ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’
সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) মাধ্যমে পরিচালিত ‘ন্যাশনাল ডাটাবেজ অফ রিনিউয়েবল এনার্জি’র আওতায় বর্তমানে সারাদেশে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্পকারখানা বা অন্যান্য স্থানে নেট মিটারিং সিস্টেমের আওতায় মোট ১০২ দশমিক ১৮৮ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ২ হাজার ২৭৪টি সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। ৪৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। তা থেকে দিনে ও পিক আওয়ারে গড়ে ৪০০ থেকে ৪২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।
‘এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।’