বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘উন্নয়নের কোপ’ পড়ল অর্ধশতাধিক গাছে

  • প্রতিনিধি, পটুয়াখালী   
  • ৭ মে, ২০২৪ ১৯:৩১

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে কিংবা গাছ কাটার সময় তাকে অবগত করা হয়নি। এমনকি খাল সংস্কারের জন্য গাছগুলো অপসারণেরও কোনো আগাম নোটিশ দেয়া হয়নি। উপরন্তু স্থানীয়রা এভাবে গাছগুলো ধবংস না করার জন্য অনুরোধ করলেও সংশ্লিষ্টরা তাতে কর্ণপাত করেননি।

পটুয়াখালীতে খাল সংস্কারের নামে ব‌্যক্তি মা‌লিকানাধীন অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভো‌গী গাছের মালিকের অভিযোগ, বিষয়‌টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তাসহ এল‌জিই‌ডির সং‌শ্লিষ্ট কর্মকর্তা‌দের নজ‌রে আনা হ‌লেও অজ্ঞাত কার‌ণে তারাও কোনো ব‌্যবস্থা গ্রহণ করে‌ন‌নি।

সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বহালগাছিয়া গ্রামের সোহরাব হো‌সেন নামের ওই ব‌্যক্তির এসব গাছ সোমবার কেটে ফেলা হয়েছে। সোহবার হোসেন পেশায় সাংবাদিক, দি ডেইলি স্টারের পটুয়াখালী প্রতি‌নি‌ধি হিসেবে তিনি কর্মরত।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পটুয়াখালী সদর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘সাস্টেইনেবল স্মল স্কেল ওয়াটার রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় কালিকাপুর ইউনিয়নের বহালগাছিয়া খাল (ইসহাক মডেল কলেজের দক্ষিণ পাশে) সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ওই খালের পাড়ে সাংবাদিক সোহরাব হোসেনের জমিতে লাগানো অর্ধশতাধিক মেহগনি গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে।

সোহরাবের অভিযোগ, উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে কিংবা গাছ কাটার সময় তাকে অবগত করা হয়নি। এমনকি খাল সংস্কারের জন্য গাছগু‌লো অপসারণেরও কোনো আগাম নোটিশ দেয়া হয়নি। উপরন্তু স্থানীয়রা এভাবে গাছগুলো ধবংস না করার জন্য অনুরোধ করলেও সংশ্লিষ্টরা তাতে কর্ণপাত করেননি। আবার খালটির পাড়ে আরও অন্যান্য বাড়িঘর থাকলেও ওইসব বাড়ি-ঘরের গাছপালার একটি ডালও কাটা হয়নি।

প্রকল্প কর্তাদের এমন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী হতবাক। গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারাও।

সোহরাব হোসেন বলেন, ‘মেহগনি গাছগুলো কাটার আগে আমাকে জানানো হয়নি। সরকার যেখানে বৃক্ষরোপনে সকলকে উদ্বুদ্ধ করে, সেখানে সরকারি প্রকল্পের নামে বৃক্ষনিধন কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা আগে জানালে আমি গাছগুলো পরিকল্পিতভাবে অপসারণ করতে পারতাম। তা না করে তারা আমার আর্থিক ক্ষতিসহ পরিবেশেরও অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। বিষয়টি আমি এলজিইডি, বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে এর প্রতিকার দাবি করেছি।’

এ বিষয়ে এলজিইডির পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রকৌশলী বোরহান মেহেদী জানান, কারো ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতি করে সরকারি কাজ করার নিয়ম নেই। বিষয়টি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. স‌ফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়‌টি আ‌মি শুনেছি। এভাবে গাছ কাটার কোনো নিয়ম নাই। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী লি‌খিত অ‌ভি‌যোগ দিলে সং‌শ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর