কালবৈশাখীতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফলজ ও বনজ গাছপালাসহ বোরো মৌসুমের ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। ঝড়ের কারণে উপজেলার সাদেকপুর, কালিকাপ্রসাদ ও গজারিয়া ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম দুদিন যাবৎ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়েছেন এই এলাকার মানুষ।
বিদ্যুৎ না থাকায় প্রায় প্রতিটি ঘরেই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা বিভিন্ন খাবার ও মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া গরমে দুর্ভোগে রয়েছেন বয়স্ক, অসুস্থ ও শিশুরা।
গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদি গ্রামের বাসিন্দা নার্গিস বেগম বলেন, ‘আকাশে মেঘ ডাক দিলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। ঝড় থেমে গেলোও বিদ্যুৎ আসার খবর থাকে না। কালবৈশাখী আসার পর সেই যে বিদ্যুৎ গেল, দুদিন হয়ে গেল আর আসছে না। যার ফলে ঘরের ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস-সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে।’
উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা রাকিব মিয়া বলেন, ‘কালবৈশাখীর প্রভাবের গাছপালা তারের ওপর ভেঙ্গে পড়ে তিনটি উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে শনিবার রাত থেকেই বিদ্যুৎ নেই। ঝড়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। পরিবারের লোকজনদের নিয়ে অন্ধকার ঘরে বসে আছি। আর অপেক্ষায় আছি কখন বিদ্যুৎ আসবে।’
এ বিষয়ে নরসিংদী-২ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কুলিয়ারচর জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টে জানিয়েছে, কালবৈশাখীতে কুলিয়ারচর ৩৩ কেভি এবং ১১ কেভি ফিডারের ওপর ব্যাপক পরিমাণে গাছের ডাল ও বাঁশ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ফিডার বন্ধ আছে। এ কারণে কুলিয়ারচর, ভৈরব, বাজিতপুর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন বন্ধ আছে। ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি ফিডারের উপর বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকা বড় গাছের ডাল ও বাঁশ কেটে, তার জোড়া দিয়ে লাইন চালু করার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিলা বিনতে মতিন জানান, ভৈরবে কালবৈশাখীর ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কৃষি ও বিদ্যুৎ খাতে কিছু ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। দ্রুত বিদ্যুতের সংযোগ ফেরাতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে।