পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহীনুজ্জামান শাহীনসহ আটক ১১ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আটকের ১২ ঘণ্টার মাথায় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনি এলাকা থেকে সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহীনের একটি গাড়ি ও প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ ১১ জনকে আটক করে র্যাব।
তাদের ছেড়ে দেয়ার বিষয় র্যাব কমান্ডার এহতেশামুল বলেন, ‘আটকের পর আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। যেই টাকা জব্দ করা হয়েছিল সেটি নির্বাচনি ব্যয়ের সীমার মধ্যেই ছিল। জব্দকৃত টাকা ট্রেজারিতে জমা দেয়া হবে এবং শাহীনসহ সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মুক্তি পাওয়ার পর শাহীন বলেন, ‘আমরা নির্বাচনি সকল ব্যয় পরিশোধের জন্য টাকাগুলো আনা হচ্ছিল। এটা কোনো অসৎ উপায়ের জন্য ব্যবহার হচ্ছিল না। সম্পূর্ণ বৈধ টাকা। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।’
শাহীন সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী।
শাহীনসহ ১১ জনকে আটকের বিষয়ে এর আগে কমান্ডার এহতেশামুল বলেন, ‘আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে সুজানগর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে র্যাবের নিয়মিত টহল দল সোমবার রাতে সুজানগরের চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন ও তার ১০ সহযোগীকে আটক করা হয়।
‘এ ছাড়া তার গাড়িতে রাখা দুই ব্যাগ ভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা ও নির্বাচনি কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।’
আগামী ৮ মে পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আনারস প্রতীকের শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওহাব (মোটরসাইকেল)।