বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্বাসরোধে শিশুকে হত্যার পর বিদ্যুৎস্পর্শে মৃত্যুর নাটক সাজান মা

  • প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা   
  • ৬ মে, ২০২৪ ২০:৪৫

আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে নিজের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যার পৈশাচিক বর্ণনা দিয়েছেন মা পপি খাতুন। মা-বাবার বিয়েবিচ্ছেদের পর শিশু মাইশা মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতেই থাকতো।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় শিশু মাইশা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সাত বছরের শিশুকন্যা মাইশাকে হত্যার পর নিজেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর নাটক সাজিয়ে মোবাইল ফোনের চার্জার সন্তানের গলায় জড়িয়ে রাখেন তিনি।

আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে নিজের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যার পৈশাচিক বর্ণনা দিয়েছেন মা পপি খাতুন। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদি গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।

সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদী গ্রামে শিশু মাইশার মরদেহ পাওয়া যায়। মোবাইল চার্জার নিয়ে খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুটি মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। ওইদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল রানা শিশুটির স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ করেন। পরে মরদেহের ময়না তদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এরই ভিত্তিতে ৩ মে মাইশার নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমানসহ মামলার তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মা পপি খাতুনের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পপি হত্যার দায় স্বীকার করেন। পারিবারিক কারণে নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানান তিনি।

শিশু মাইশা খাতুন ভোগাইল বগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মা-বাবার বিচ্ছেদ হলে মায়ের সঙ্গে সে নানাবাড়িতে থাকত।

এ বিভাগের আরো খবর