সিরাজগঞ্জ শিল্পপার্কে গ্যাসলাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটি ধসে সোহাগ নামে এক চাপা পড়েছেন। তার শরীরের প্রায় অর্ধেক পাইপে ও অর্ধেক মাটির ভেতরে চাপা পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করেন। এ সময়টা তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়ি দুখিয়াবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
মাটিচাপা পড়া শ্রমিক সোহাগ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ এলাকার মো. সালামের ছেলে বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা।
তাদের একজন কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে পাইপের ভেতর দিয়ে ঢুকে মাটি কেটে কেটে পাইপ স্থাপনের কাজ করছিলাম। এ সময় আমরা পাইপের মধ্যে তিন-চারজন ছিলাম। তখন সোহাগের মাথা থেকে প্রায় পেট পর্যন্ত পাইপের ভিতরে ছিল। এ সময় হঠাৎ উপর থেকে মাটি ধ্সে পড়ে। তখন তার পেট থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে চাপা পড়ে। পরে তাকে উদ্ধারের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অক্সিজেন সেট করে দেই। ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। তবে সে পাইপের ভেতরে সে সুস্থই ছিল। উদ্ধার অভিযান চলাকালেও আমি পাইপের ভেতর দিয়ে কয়েকবার গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে এসেছি।’
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ৪টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসেই পাইপে আটকা পড়া শ্রমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করি ও অক্সিজেন সরবরাহ করি। এরপর এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি।
‘তার শরীরের ৩০ ভাগ পাইপের ভেতরে ছিল। বাকি ৭০ ভাগ মাটিচাপা পড়েছিল। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক রোকনুজ্জামান বলেন, ‘ওই শ্রমিককে এখানে আনা হলে ভর্তি করে নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বড় কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি। তিনি ভালো আছেন।’