টাঙ্গাইলের শাড়ির জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক স্বত্ব বাংলাদেশের রাখার জন্য ভারতে আইনজীবী নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকার।
শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিয়ে সোমবার এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়।
এর আগে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধনের উপযোগী পণ্যের তালিকা প্রস্তুত করে আদালতে জমার আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়।
একইসঙ্গে তালিকা প্রণয়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে উচ্চ আদালত।
ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই ভারতের- এমন দাবির বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে সরকার ভারতের একটি ল’ ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে।’
কয়েক শ’ বছরের পুরনো টাঙ্গাইল শাড়িকে সম্প্রতি নিজেদের দাবি করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় প্রতিবেশী দেশ ভারত। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি আলোচনায় আসার পর বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না- এ প্রশ্নে রুল জারি করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।