বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাদ্যমন্ত্রীর এলাকায় চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ   
  • ৬ মে, ২০২৪ ১৮:০২

ভোট বর্জনকারীরা বলছেন, নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের এক প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছেন। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। এ অবস্থায় হানাহানি ও দ্বন্দ্ব এড়াতে তারা ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের চার প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে তারা এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের এক প্রার্থী ও তার সমর্থকরা আইন ও দলীয় নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছেন। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। এ অবস্থায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব এড়াতে তারা ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন।

সোমবার দুপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ ও ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ ফেসবুক লাইভে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ ‘কাপ-পিরিচ’, ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ ‘ঘোড়া’, জাহিদ হাসান বিপ্লব ‘হেলিকপ্টার’ ও আবেদ হাসান মিলন ‘আনারস’ প্রতীক পান। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনি গণসংযোগ চালিয়েছেন।

ফেসবুক লাইভ ও লিখিত বক্তব্যে ভোট বর্জনকারী প্রার্থীরা বলেছেন, ‘উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতোমধ্যে সব প্রস্ততি শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি।

‘কিন্তু একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছেন। আমাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।’

তারা আরও বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানদেরকেও মন্ত্রীর নাম ভাঙানো ওই প্রার্থী তার পক্ষে প্রচার চালাতে বাধ্য করছেন। অন্যথায় টিসিবি, ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা থেকে তাদের বঞ্চিত করার হুমকি দেয়া হচ্ছে।

‘এ অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব এড়াতে আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’

প্রসঙ্গত, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয়জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিলেন। এই চারজন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় এখন নির্বাচনি মাঠে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর