আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে ৯৩ জন কোটিপতি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি সোমবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণের এ ফল প্রকাশ করে।
টিআইবির বিশ্লেষণের সারসংক্ষেপে প্রার্থীদের সম্পদের বিষয়ে বলা হয়, ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে বছরে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা আয় করেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৯৮ জন, যা মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীর ৩৫.২৩ শতাংশ, যা পাঁচ বছর আগের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ। সমপরিমাণ আয় করেন এমন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বেড়েছে তিন গুণের কাছাকাছি। আগের নির্বাচনে ২৩ জনের জায়গায় এবার সংখ্যাটি ৫৮।
‘বছরে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা আয় করেন এমন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ২১ জন। এখানেও বৃদ্ধির হার প্রায় তিন গুণ।’
সারসংক্ষেপে বলা হয়, ‘আয়কর ধাপ অনুযায়ী, প্রার্থীদের ৪০ শতাংশই আয় দেখিয়েছেন সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। অর্থাৎ করযোগ্য আয় নেই তাদের। ২১ শতাংশের আয় সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার লাখ। সাড়ে ১৬ লাখ টাকার বেশি আয় দেখিয়েছেন ১০ শতাংশের বেশি প্রার্থী।
‘অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের মাত্র ৭ শতাংশ কোটিপতি। বাকি প্রায় ৯ শতাংশ প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকার নিচে।’
কোটিপতি প্রার্থীদের সংখ্যা নিয়ে টিআইবির বিশ্লেষণের ফলে বলা হয়, ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মদ্যে ৯৩ জন কোটিপতি। আগের নির্বাচনের তুলনায় এ সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ (পঞ্চম নির্বাচনে ছিল ৩৭ জন)।
‘ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ১৭ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ছয়জন কোটিপতি। উভয় ক্ষেত্রেই আগের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের আশেপাশে।’
অস্থাবর সম্পদের তালিকায় শীর্ষে থাকা প্রার্থীদের বিষয়ে টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘অস্থাবর সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন গোপালগঞ্জ সদরের কামরুজ্জামান ভূইয়া। তার মোট অস্থাবর সম্পদ ২৫.২৪ কোটি টাকার।
‘তালিকার দুইয়ে কাউনিয়া উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম (২০.৩০ কোটি টাকা)। তালিকার তিনে আছেন আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদমূল্য ১৮ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা। আতাহারের পিতা একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের
সংসদ সদস্য। আতাহারের মতো আরও দুজন প্রার্থী এই তালিকায় রয়েছেন, যারা সংসদ সদস্যদের স্বজন।’