কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় শিবিরে এক রোহিঙ্গা যুবককে তুলে নিয়ে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ‘আধিপত্য বিস্তারের জের’ ধরে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরেকটি নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার সন্ধ্যা ৭টায় উখিয়া উপজেলার ২০-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫ ব্লকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল।
নিহত জাফর আহম্মদ উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-৯ ব্লকের বাসিন্দা রঞ্জু মিয়ার ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর।
এর আগে রোববার সকালে উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এম-১৯ ব্লকে রেডক্রিসেন্ট অফিসের পাশে নূর কামাল নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এপিবিএন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘সন্ধ্যায় উখিয়ার ৪-এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-ব্লকে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় যান জাফর আহম্মদ। এ সময় সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র ১০/১২ জন সদস্য তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়।
‘পরে পাশের ২০-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের কাঁটাতারের বাইরে নিয়ে তাকে প্রথমে গুলি করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
‘খবর পেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন-এর একটি দল ঘটনাস্থল থেকে গলাকাটা এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।’
ইকবাল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।